ঢাকা: ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে তুরস্ক পুলিশ বাহিনীর অন্তত ৮ হাজার কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও দেশটির বিচার বিভাগের সদস্য ও সেনাবাহিনীর জেনারেলসহ আরো অন্তত ৬ হাজার জনকে আটক করা হয়েছে।
দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, অভ্যুত্থানকারীদের ‘ভাইরাস’ আখ্যা দিয়ে তাদের মুছে ফেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তিনি এ অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। তবে অভ্যুত্থানে নিজের সব ধরনের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন গুলেন।
অপরদিকে, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর হেলিকপ্টারে করে গ্রিসে পালিয়ে যাওয়ার পথে ৮ তুর্কি সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে গ্রিস। অনুপ্রবেশের দায়ে সোমবার তাদের গ্রিসের এক আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, এরইমধ্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড পাসের বিধান তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে দেশটিকে সর্তক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এর ফলে তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান হুমকির মুখে পড়বে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের লক্ষে শর্ত হিসেবে ২০০৪ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রদ করে তুরস্ক। সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
এসআর