ঢাকা: ‘হিলারি ক্লিনটন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস এর প্রতিষ্ঠাতা। এ জন্য তার পুরস্কার পাওয়া উচিত।
জুলাইয়ের শেষে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে আক্রমণাত্মক ভাষায় একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন ট্রাম্প।
হিলারিকে ডাইনি বা শয়তান হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ফ্লোরিডায় নিজের নির্বাচনী প্রচারণার সময় হিলারি ক্লিনটনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন ট্রাম্প। হিলারি ক্লিনটনকে অসৎ আখ্যা দিয়ে তাকে জঙ্গি সংগঠন আইএস এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকলে নাকি ৯/১১ সংঘটিতই হতো না এমন কথাও বলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, ডেমোক্রেটিক দলের ন্যাশনাল কনভেনশনের পরপরই মার্কিন নাগরিকদের জনমতের পাল্লা হিলারির দিকে ব্যাপকভাবে ঝুঁকে যায়। ওই কনভেনশনে ডেমোক্রেটিক শিবির অত্যন্ত সুচারুভাবে ট্রাম্পকে বিদ্ধ করেন। মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যসহ নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রাম্পের করার বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্যকেই এ সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে ডেমোক্রেটিক শিবির। ফলে হু হু করে কমতে থাকে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার পারদ। এই মুহূর্তে তাই অনেকটা বেসামাল ট্রাম্প। পরিস্থিতি উত্তরণে শেষ পর্যন্ত হিলারিকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তিনি। এখন দেখা যাক, তার এই কৌশল কতটা কার্যকর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
আরআই