ঢাকা: বিভিন্নস্থানে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলাসহ সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। তাদের শরীরের কোমরে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে বিস্ফোরক।
আর শিশুরা সহজে যে কোনো স্থানে প্রবেশ করতে পারায় এবং অন্যান্যদের তুলনায় তারা কম সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এজন্যই আত্মঘাতী হামলায় শিশুদের বেছে নিচ্ছে তারা।
গত দুই দিনে এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা চাক্ষুস করেছে বিশ্ববাসী।
শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৫টা ১৯ মিনিটের দিকে তুরস্কের সিরিয়া সীমান্তবর্তী শহর গাজিয়ান্তেপে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। নিহতের তালিকায় রয়েছে ২২টি শিশু। যাদের বয়স ১৪ বছরের কম।
এ ঘটনার পর এক বক্তৃতায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানান, আত্মঘাতী হামলাটি চালিয়েছে ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী একটি শিশু। তবে দেশটির পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় জানাতে পারেনি। পুলিশ জানায়, হামলাকারী বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে ভিড়ের ভিতর নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কিরকুক এলাকা থেকে ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। এ সময় তার শরীরে আত্মঘাতী বিস্ফোরক দ্রব্য লাগানো ছিলো।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে একটি শিয়া মসজিদের দিকে যাচ্ছিলো। পরে তাকে আটক করে তার শরীর থেকে সফলভাবে বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ রকম আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের হাতিয়ার হিসেবে শিশুদের ব্যবহার করছে।
যদিও বিভিন্ন সময় আইএসের প্রকাশিত ভিডিওতে হত্যাকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে আত্মঘাতী হামলায় শিশুদের ব্যবহারের বিষয়টি অনেকটা নতুন।
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে আইএস শিশুদের জন্য ‘কাবস অব দ্য খেলাফত’ নামে একটি অ্যাপস ছেড়েছে। যেখানে শিশুদের কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
আরএইচএস/আরআই