ঢাকা: শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিজের আশপাশের বাড়িঘর ধসে যেতে দেখেছেন। দেখেছেন শ’ শ’ মানুষের মরদেহ আর পঙ্গুত্ব বরণ করা অসংখ্য মানুষের আহাজারি।
ইতালির ল্যঅকুইলায় ২০০৯ সালে ভূমিকম্পের পর শহরটি ছেড়ে আসা মার্তিনা তুরসো নামে এক নারী গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভূমিকম্পেরই কবলে পড়লেন নতুন বসতির শহর আসকোলিতে। সেখানে হারিয়ে ফেললেন তার ১৮ বছর বয়সী কন্যা সন্তান মারিসল পিয়ারমারিনিকে। এখন নিজেও লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। ‘অদৃষ্টের লেখন না যায় খণ্ডন’ বলে প্রচলিত কথারই যেন নজির হয়ে উঠলো এ ঘটনা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মর্মান্তিক ঘটনাটি উঠে এসেছে। সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, মার্তিনো তুরসোর চিকিৎসা চলছে। কর্তৃপক্ষ অন্য আহতদের পাশাপাশি তুরসোরও খোঁজখবর রাখছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০০৯ সালে আবরুজ্জো অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় ওই অঞ্চলের শহর ল্যঅকুইলাতে ছিলেন তুরসো। সে ভূমিকম্পে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও কয়েকশ’ মানুষ। ঘরবাড়ি ধসে বাস্তুহারা হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ। ওই ধ্বংসযজ্ঞে ভীত হয়ে ল্যঅকুইলা ছেড়ে ল্য মারচে অঞ্চলের আসকোলি শহরে চলে আসেন তুরসো। এখানে সম্পর্ক গড়েন মাসিমিলিয়ানো নামে এক তরুণের সঙ্গে। বসবাস করতে থাকেন ‘নিশ্চিন্তে’। কিন্তু নিয়তিই যেন তাকে আসকোলি শহরে নিয়ে এলো।
সাত বছর পর এই আসকোলি শহরেই আঘাত হানলো আরেকটি ভূমিকম্প। কেড়ে নিলো তার কলিজার টুকরো কন্যাসন্তানকে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জায় নামিয়ে দিলো তাকে। হাসপাতালে পাঠালো তার সঙ্গীকেও।
তুরসোর দাদা মাসিমো পিয়েরমারিনি বলছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমরা আমাদের বাচ্চাটাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমি বলেছিলাম, আমি তাদের সঙ্গে থাকি, কিন্তু ওরা থাকতে দিলো না। হায় আমাদের সোনামনিটা!
তুরসোর সন্তান কেড়ে নেওয়া মঙ্গলবারের এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৪৭ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৬
এইচএ/
** ইতালি যেন মৃত্যুপুরী, ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৪৭
** ইতালিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে ১৫৯
** ইতালিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০
** ইতালিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, নিহত বেড়ে ৭৩
** ছবিতে ভূমিকম্পে ইতালির ধ্বংসযজ্ঞ
** ইতালিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, নিহত ৬
** শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইতালি