ঢাকা: জন্মের আগে বা জন্মের ২৮ দিনের মাথায় বিশ্বে প্রতিবছর ৫৫ লাখ নবজাতকের মৃত্যু হয়, যা উত্তর ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার সমান।
তবে প্রধান যে তিনটি কারণে (প্রিম্যাচুরিটি, জন্ম সংশ্লিষ্ট জটিলতা, সংক্রামক রোগ) নবজাতক মারা যায় সেগুলো প্রতিরোধ সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (হু) আঞ্চলিক কমিটির সভায় অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। ৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী কলম্বোয় শুরু হয়েছে এ সভা।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাস ও জনবহুল দেশগুলোতে কালা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা গুরুত্ব সহকারে সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় এ অঞ্চলের ১১টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন।
এতে উপস্থিত ভারতের পরিবার ও স্বাস্থ্য কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, গর্ভবতী নারীদের যথাযথ যত্ন নিলে শতকরা ৪০ ভাগ মায়ের মৃত্যু কমানো সম্ভব।
সভায় বলা হয়, প্রতিবছর মারা যাওয়া ৫৫ লাখ নবজাতকের মধ্যে ২৯ লাখ মারা যায় জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে। অন্তত ২০ লাখ মারা যায় জন্মের প্রথম দিনেই।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নবজাতকদের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ৭ লাখ ৭৯ হাজার মারা যায়। নাইজেরিয়ায় এ সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার। পাকিস্তান রয়েছে তৃতীয় স্থানে, ২ লাখের কিছু বেশি। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীন, কঙ্গো যথাক্রমে ১ লাখ ৫৭ হাজার ও ১ লাখ ১৮ হাজার।
তবে ৯০ দশকের তুলনায় বর্তমানে মাতৃমৃত্যু হার কমেছে। ১৯৯০ সালে যেখানে দুই লাখের বেশি মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ছিল ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ হার কমেছে শতকরা ৬৯ শতাংশ। আর বিশ্বে এ হার ৪৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬
জেডএস