ঢাকা: বিশ্বনেতাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরসমাহিত হলেন ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শান্তিতে নোবেলজয়ী শিমন পেরেজ।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভাবগম্ভীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের পর তাকে জেরুসালেমের মাউন্ট হার্জেল সিমেট্রিতে চিরশায়িত করা হয়।
সিমেট্রি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় শেষকৃত্যের। পেরেজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এতে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবাল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাসোয়া ওঁলাদ, জার্মানির প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম গাওক, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাতিও রেনজি, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নেইতো, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতে ও স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ।
এছাড়াও অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জাপানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি, জর্দানের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জাওয়াদ আনানি, ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ, রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষের স্পিকার ভ্যালেন্টিনা মাতভিয়েঙ্কোসহ অনেক দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান অথবা তাদের প্রতিনিধি।
শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। তিনি শিমন পেরেজকে বিশ্বের মহান নেতা উল্লেখ করে বলেন, শিমন একটি লক্ষ্য নিয়ে বেঁচেছিলেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার সে লক্ষ্য তাকে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি ইসরায়েলের মহান নেতা ছিলেন। ছিলেন বিশ্বেরও মহান নেতা।
অনুষ্ঠানে বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটনসহ অনেকে বক্তৃতা করেন। তারা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি প্রতিষ্ঠায় পেরেজের প্রচেষ্টার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মৃত্যু হয় ৯৩ বছর বয়সী পেরেজের। ইসরায়েলের দুইবারের এ প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সমস্যার সমাধানে ১৯৯৩ স্বাক্ষরিত অসলো শান্তি চুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার কারণে ১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন পেরেজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
এইচএ/