ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি মায়ানমার উপকূলে আঁছড়ে পড়ার পর বিপদ কেটে যাওয়ার কথা থাকলেও উল্টো চোখ রাঙাচ্ছে এখন। অভিমুখ বদল করে এটি শক্তি সঞ্চয় করে এগোচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গসহ পূর্ব উপকূলের দিকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দাতা সংস্থা আকুওয়েদার বলছে, মায়ানমার উপকূলে আঁছড়ে পড়ার পর নতুনভাবে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হয়ে মঙ্গল ও বুধবারের (২৫ ও ২৬ অক্টোবর) মধ্যে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমে তেড়ে আসবে।
এর ফলে বুধবার ভোর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে বর্ষণ শুরু হতে পারে। তবে অবস্থা মারাত্মক খারাপ হতে পারে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালের মধ্যে। এই সময় ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া নাড়িয়ে দিতে পারে পুরি, কাকিনাদাসহ পশ্চিম-ভারতকে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারী বর্ষণে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বিশাখাপত্তম, শ্রিকাকুলাম, পুরি ও বালেশ্বর।
এই পূর্বাভাসের মধ্যে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে।
শেষ খবর পর্যন্ত গোপালপুর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল ‘কায়েন্ট’। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরো শক্তিশালী হবে।
এদিকে, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ও সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী নাভিন পাটনায়েক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬/আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা
এইচএ/জেডএস/