ঢাকা: চলছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচন জানিয়ে দেবে পরবর্তী চার বছরের জন্য কে হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রধান।
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ‘গাধা’ প্রতীকধারী ডেমোক্রেটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন ও ‘হাতি’ প্রতীকধারী রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে।
অনেক হিসাব-নিকাশের এ নির্বাচনে কেবল সরাসরি প্রাপ্ত ভোট (জনপ্রিয়তার ভোট) জিতলেই হবে না, জিততে হবে নির্ধারিতসংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটও। এই ইলেক্টোরাল ভোট ভোটাররা দিচ্ছেন প্রার্থীকে সরাসরি দেওয়া ভোটের সঙ্গে সঙ্গেই।
ইলেক্টোরাল ভোট দেওয়ার পদ্ধতি হলো, ব্যালটে প্রার্থীর পাশাপাশি পার্টি মনোনীত ইলেক্টরের (নির্বাচক) ব্যালটেও সিল মারতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ অঙ্গরাজ্য ও একটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট মিলিয়ে মোট ৫৩৮ ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে, এরমধ্যে প্রার্থীকে জিততে হবে ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট। কেউ জনপ্রিয়তার ভোট অনেক বেশি জিতলেও তার পার্টি থেকে মনোনীত ইলেক্টর যদি নির্ধারিতসংখ্যক বিজয় ছিনিয়ে আনতে না পারে তবে তাকে পরাজয় বরণ করতে হবে। অর্থাৎ যার ইলেক্টোরাল ভোট বেশি হবে, তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তার ভোট অনেক বেশি পেয়েও ইলেক্টোরাল ভোট কম পাওয়ায় হারার নজির রয়েছে। সেই নজিরগুলোই জেনে নেওয়া যাক।
** ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়েছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ডেমোক্রেট প্রার্থী আল গোর। সে নির্বাচনে ৫ লাখ ৪০ হাজার বেশি জনপ্রিয় ভোট পেয়েও হেরে গিয়েছিলেন আল গোর। জনপ্রিয় ভোট কম পেয়েও ২৭১ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে হোয়াইট হাউসে উঠে গিয়েছিলেন বুশ।
** ১৮৮৮ সালের নির্বাচনে মূল লড়াই হয়েছিল রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসন ও ডেমোক্রেট প্রার্থী গ্রোভার ক্লেভল্যান্ডের মধ্যে। সেবার ১ লাখ ৪৫৬ ভোট বেশি পেয়েও ইলেক্টোরাল ভোট কম পাওয়ায় হেরে গিয়েছিলেন ক্লেভল্যান্ড। জনপ্রিয়তার ভোট কম পেয়েও ২৩৩ ইলেক্টোরাল ভোট (সেসময় নির্ধারিত) জিতে প্রেসিডেন্ট হয়ে যান হ্যারিসন।
** রিপাবলিকান প্রার্থী রাদারফোর্ড হায়েস ও ডেমোক্রেট প্রার্থী স্যামুয়েল টিলডেনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল ১৮৭৬ সালের নির্বাচনে। সেবার ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৯২ জনপ্রিয় ভোট পেয়েও হেরেছিলেন টিলডেন, আর ১৮৫ ইলেক্টোরাল ভোট (সেসময় নির্ধারিত) পেয়ে হোয়াইট হাউসে উঠে গিয়েছিলেন হায়েস।
** ১৮২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল জন কুইন্সি অ্যাডামস ও অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের মধ্যে। সেবার অনেক বেশি জনপ্রিয় ভোট পেয়েও হেরে গিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জ্যাকসন, আর ইলেক্টোরাল ভোট বেশি জিতে প্রেসিডেন্ট আসনে আরোহণ করেন অ্যাডামস।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
এইচএ/