সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে ফ্লিনের পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার আগে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ‘গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে’ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছেন ফ্লিন।
তার এ পদত্যাগের খবরের আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়ার আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ‘একান্ত আলাপ’ সেরেছিলেন ফ্লিন। বিষয়টি কাউকে জানাননি তিনি। এ আলাপের খবর দিয়ে হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। তারা বলে দেয়, রাশিয়া ব্ল্যাকমেইল করতে চাইলে ফ্লিনই হয়ে উঠতে পারেন হোয়াইট হাউসের জন্য বিপজ্জনক।
এই প্রেক্ষিতে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকরা ফ্লিনকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন। দাবির প্রেক্ষিতেই গত ২০ জানুয়ারিই দায়িত্ব নেওয়া ফ্লিন মাস না পেরোতেই পদ ছাড়তে বাধ্য হলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সাধারণ নাগরিকের কূটনৈতিক আলাপ বা তৎপরতা রাষ্ট্রীয়ভাবে অবৈধ। অথচ গত বছরের শেষ দিকে তেমন ফোনালাপের পর ট্রাম্প প্রশাসনে নিয়োগ পান ফ্লিন।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে হোয়াইট হাউসে পাঠানো চিঠিতে ফ্লিন বলেন, “রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যে আলাপ হয়েছে, সেসময় আমি নর্বনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অজ্ঞতাবশত কিংদাংশ জানিয়েছি। ”
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্লিনের বদলে এখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ সামলাবেন জেনারেল জোসেফ কেইথ কেলগ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এইচএ/