ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

টেরিজা নাকি করবিন, কে আসছেন যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৭
টেরিজা নাকি করবিন, কে আসছেন যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে টেরিজা মে ও জেরেমি করবিন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের দলের নির্বাচনে

টেরিজা মে, নাকি জেরেমি করবিন? কনজারভেটিভ পার্টি, নাকি লেবার পার্টি? ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া) পূর্ণ বাস্তবায়নের নেতৃত্ব, নাকি জনকল্যাণমুখী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের বৈপ্লবিক নেতৃত্ব? যুক্তরাজ্যের জনগণ কাকে চাইছে?

এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে শুক্রবার (৯ জুন) সকালে। সেখানে এখন সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

যুক্তরাজ্য সময় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৭টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়) একযোগে দেশটির ৪০ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ ভোট চলবে রাত ১০টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) পর্যন্ত। তারপরই শুরু হবে ভোট গণনা। গণনার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকবে ফলাফল, অর্থাৎ শুক্রবারই জানা যাবে কে আসছে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে।

নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার পার্টির মধ্যে। এছাড়া, লিবারেল ডেমোক্রেট (লিবডেম), ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টিসহ (ইউকিপ) আরও কয়েকটি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যুক্তরাজ্যের সংসদের মোট ৬৫০ আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ৪ কোটি ৭ লাখের মতো ভোটার। সংসদে যে দল ৩২৬ আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে, তারাই পরবর্তী মেয়াদের জন্য নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাজ্যকে।

ব্রেক্সিটের পর গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া টেরিজা গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আকস্মিক নির্বাচনের ডাক দেন। ২০২০ সালে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার এই আগাম নির্বাচন আহ্বানকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ কর‍ার পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়।
 
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত জরিপে প্রধানমন্ত্রী টেরিজার কনজারভেটিভ পার্টিকে এগিয়ে রাখা হলেও শেষ দিকের জরিপে তাদের একেবারে ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে করবিনের লেবার পার্টি। তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার ব্যবধান এখন মাত্র ১ শতাংশ বলেও খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম। সেজন্য এ আগাম নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এবারের নির্বাচনে প্রচারের শুরু থেকেই প্রধান ইস্যু অভিবাসন, সমাজকল্যাণ এবং ব্রেক্সিট। তবে নাগরিকরা এবারের নির্বাচনে মূলত আয় বৃদ্ধির নীতি সংক্রান্ত ইস্যুগুলোকে বড় করে দেখছেন। সম্প্রতি পার্লামেন্ট এলাকা, ম্যানচেস্টারে কনসার্ট ও লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা ইস্যুও ভোটাধিকার প্রয়োগে বিবেচ্য হয়ে উঠেছে।  

নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী টেরিজা বলেছেন, তার দলকে ক্ষমতায় রাখা হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্রেক্সিটের পূর্ণ বাস্তবায়ন করবেন। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের যুক্তরাজ্যের দরকার স্থিতিশীল ও শক্তিশালী নেতৃত্ব। আর করবিন বলেছেন, সাত বছর ধরে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভদের কৃচ্ছ্রসাধন নীতির বিপরীতে জনকল্যাণমুখী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবেন তিনি। যুদ্ধবিরোধী করবিন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোরও কথা বলেছেন প্রচারণায়।

বিগত ২০১৫ সালের নির্বাচনে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভরা জিতেছিল ৩৩১ আসন। এবারও কি তারা এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে? নাকি টেরিজার আগাম নির্বাচন আহ্বান ‘পায়ে কুড়াল মারা’ বলে প্রতীয়মান হবে- তা দেখতে নির্বাচনে নজর রাখছে বিশ্ববাসী।

** যুক্তরাজ্যের নির্বাচন, হড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।