ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নাটকীয়তার পর রাহুল গান্ধী মুক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৭
নাটকীয়তার পর রাহুল গান্ধী মুক্ত পুলিশের সঙ্গে বাক্যবিনিময়ে রাহুল গান্ধী (পাঞ্জাবি পরিহিত)

ভারতের মধ্যপ্রদেশে চলমান কৃষকদের বিক্ষোভে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে আটক কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। রাহুল আন্দোলনে নিহত পাঁচ কৃষকের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে আটক হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর সন্ধ্যায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কংগ্রেসের নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।

** কৃষক বিক্ষোভে যাওয়ার পথে রাহুল গান্ধী আটক
কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেন, প্রশাসন রাহুলকে আটক করার পর তিনি বন্দিদশায় থাকার ব্যাপারেই অটল থাকেন। পরে পুলিশ তাকে কৃষকদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি দিলে রাহুল মুক্তি পেতে রাজি হন।

দুপুরে মধ্যপ্রদেশের মালবা এলাকার নিমাচ শহরে পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভস্থল মান্দসর শহরে যাওয়ার পথে রাহুলকে আটক করা হয়।

ঋণে ছাড় ও পণ্যের ন্যায্য দামের দাবিতে ১১ দিন ধরে সেখানে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার (৭ জুন) ওই বিক্ষোভে গুলিতে ৫ কৃষক নিহত হন। এতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রদেশ।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল প্রাণ হারানো ওই কৃষকদের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে মান্দসরে যাচ্ছিলেন।

সংবাদমাধ্যম জানায়, রাহুল দিল্লি থেকে প্রথমে উড়োজাহাজযোগের রাজস্থানের উদিয়াপুরে যান। সেখান থেকে নিমাচ হয়ে মান্দসরে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন রাজস্থান রাজ্যের কংগ্রেস নেতারাও।

পথে নিমাচ পৌঁছালে সেখানে আগে থেকেই দিয়ে রাখা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মোটরসাইকেলে চড়ে সামনে এগোতে চান রাহুল। তখনই পুলিশ তাকে বন্দি করে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সেখানে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং তা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করছেন, পুলিশ নয়। সমাজবিরোধীরা গুলির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ওই ঘটনার পরই এক টুইটে বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘কৃষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে সরকার। ’

বিষয়টিকে বিরোধী দলের মদত বলে আখ্যা দিচ্ছেন ২০০৫ সাল থেকে দায়িত্বরত বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। তার দাবি, সরকারের সঙ্গে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।