ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সরকার গঠনের অনুমতি চাইতে রাণীর প্রাসাদে টেরিজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৭
সরকার গঠনের অনুমতি চাইতে রাণীর প্রাসাদে টেরিজা টেরিজা মে

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে বিজয়ী কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান টেরিজা মে পুনরায় সরকার গঠনে অনুমতি চাইতে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে যাচ্ছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ আসন পাওয়ায় তারাই সরকার গঠনে অগ্রবর্তী।

শুক্রবার (৯ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৫টা) টেরিজা রাণীর রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে যাবেন। তিনি অনুমতি দিলেই প্রধানমন্ত্রী টেরিজা আবার সরকার গঠন করতে তৎপর হবেন।

তবে অবশ্যই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতে জোট সরকার।

ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট, হচ্ছে জোট সরকার
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ‘ভূমিকম্প’, অন্ধকারে টেরিজা
আবারও বিপুল ভোটে জিতলেন টিউলিপ সিদ্দিক
৩৫ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী রুশনারা
দ্বিতীয় বারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রূপা হক
তিন কন্যার জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
জেরেমি করবিন, ব্রিটেনের নতুন ধারার রাজনীতির পথিকৃৎ
এগিয়েও বিপাকে টেরিজার কনজারভেটিভ পার্টি
আসছে ফলাফল, জমেছে লড়াই
ব্রিটেনের নির্বাচনে তেরিজাকে পেছনে ফেলছেন জেরেমি

টেরিজা নাকি করবিন, কে আসছেন যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে

এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় টেরিজার দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট অব নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সমঝোতা করে। তাদের সমঝোতার ভিত্তিতেই টেরিজা সরকার গঠনে বাকিংহাম প্যালেসে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৬৫০ আসনের মধ্যে একটি ছাড়া সব ক’টি আসনের ফলই ঘোষণা হয়ে গেছে। ফলপ্রাপ্ত ৬৪৯টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩১৮ আসন। আর প্রধান বিরোধী দল জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি পেয়েছে ২৬১ আসন।  

৬৫০ ‍আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন। সে হিসেবে ৮ আসন দূরেই থেমে গেল ক্ষমতাসীনরা। এখন সমমনা ওই ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট তাদের সমর্থন দিলেই জোট গঠনের মাধ্যমে সরকার চালাতে পারবে কনজারভেটিভরা।

ব্রেক্সিটের পর গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া টেরিজা গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আকস্মিক নির্বাচনের ডাক দেন। ২০২০ সালে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার এই আগাম নির্বাচন আহ্বানকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ কর‍ার পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু এখন টেরিজা নিজেই বেশ বিপদে পড়ে গেলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।