ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জুনিয়র ট্রাম্প কাণ্ডে ‘বেকায়দায়’ হোয়াইট হাউস

‌আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
জুনিয়র ট্রাম্প কাণ্ডে ‘বেকায়দায়’ হোয়াইট হাউস ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘটন-অঘটনের পর এবার তার পুত্রের কাণ্ডে বেকায়দায় পড়েছে হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাশিয়া সরকারের প্রতিনিধি এক আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন জুনিয়র ট্রাম্প।

আর এ বিষয়টি এখন নির্বাচনে ভিন দেশের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আগুনে যেনো নতুন করে ঘি ঢেলেছে।  

ট্রাম্পপুত্রের এমন বৈঠক নিয়ে যখন চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে তখন এমন তথ্য ফাঁসের জন্য শত্রুপক্ষ ও সিনিয়র সহযোদ্ধাদের উপর চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

হোয়াইট হাউসের মধ্যকার এমন অবিশ্বাস আর টালমাটাল অবস্থার কথা জানিয়েছেন সেখানকারই এক শীর্ষ কর্মকর্তা। বুধবার (১২ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটাই জানানো হয়েছে।  

২০১৬ সালের ৯ জুলাই রাশিয়ান আইনজীবী নাতালিয়া ভেসেলনিতস্কায়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র ট্রাম্প। দ্বিধা-বিভক্ত জি-২০ সম্মেলন শেষ করে দেশে ফিরে এখনও জনসম্মুখে কোনো কথা বলেননি ট্রাম্প।  

প্রেসিডেন্ট বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, রাশিয়া এখনও ট্রাম্প প্রশাসনে কলকাঠি নাড়ছে। সন্দেহটি আরও গাঢ় হয়েছে রাশিয়ান আইনজীবীর সঙ্গে ট্রাম্প জুনিয়রের বৈঠকের খবর প্রকাশ হওয়ার পর।  

ধারণা করা হচ্ছে, এ যোগাযোগের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে। ট্রাম্পকে নির্বাচনে জেতাতে ক্রেমলিনের হস্তক্ষেপ করার যে অভিযোগ, এ বৈঠক সে সন্দেহকে আরও জোরালো করেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে হোয়াইট হাউস।  

ট্রাম্প জুনিয়রের সমর্থকরা বলছেন, রাশিয়ান আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি জনসমর্থনের ও হোয়াইট হাউসের জন্য বিপর্যয় হলেও তাতে অস্বস্তি বোধ করছেন না ট্রাম্পপুত্র।  

তবে বিরোধীপক্ষের একজন এ ঘটনাকে ‘ক্যাটাগরি-৫ হারিকেন’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।  

এদিকে নতুন এ বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তার মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনে পেন্স যোগ দেবার আগেই এ বৈঠক হয়েছিল।  

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের কে বা কারা ট্রাম্পপুত্রের এমন খবর ফাঁস করে দিয়েছেন গোপনীয়ভাবে সে বিষয়েরই সন্ধান করছেন উপদেষ্টারা। আর যুক্তরাষ্ট্র ফার্স্ট লেডির যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক স্টেপানি গ্রিসাম জানিযেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্য ফাঁস হবার ঘটনায় অন্যান্য আমেরিকানদের মতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ফার্স্ট লেডিও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
জিওয়াই/এমএ‍

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।