ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতেই হবে: ইইউ প্রেসিডেন্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতেই হবে: ইইউ প্রেসিডেন্ট ইইউ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অচিরেই ফেরত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক।

তিনি দেশটিতে মানবাধিকার যথাযথভাবে বজায় রাখার বিষয়েও মতামত দেন। বলেন, সংঘাতময় রাখাইনে ত্রাণকর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে।

সেখানে যেন অবাধ বিচরণ সম্ভব হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।  

এমন মন্তব্যের আগে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখান থেকে একটি যৌথ ঘোষণা জারি করা হয়। যাতে সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ভারত। বলা হয়েছে, কফি আনানের প্রতিবেদনের পূর্ণ বাস্তবায়নই পারে সমস্যার সুরাহা করতে।

মিয়ানমারকে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে বললো ইইউ-ভারত
নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার শঙ্কা জাতিসংঘের

ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, সেই আগস্ট মাস থেকে সমস্যা কেবল বাড়ছেই। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়েই এর সমাধান টানতে হবে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জোয়েল মিলম্যান এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রতিদিন দুই হাজার করে রোহিঙ্গা এখনও বাংলাদেশে আসছেন।  

সব মিলিয়ে আরও লাখ খানেক মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন বলেও জানাচ্ছে সংস্থাটি।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে ৪০০’র বেশি রোহিঙ্গা গ্রামের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মগরা। রাখাইন থেকে মুসলিম বিতাড়নের উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছে। এখনও থেমে নেই জ্বালাও-পোড়াও।

আইওএম বলছে, এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে মধ্য সেপ্টেম্বরেই। কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল সেখানে কাজ করার সুযোগ না পাওয়ায় নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে না।

ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।