ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এমন সংকট বিশ্ব খুব কমই দেখেছে: আইওএম প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এমন সংকট বিশ্ব খুব কমই দেখেছে: আইওএম প্রধান উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বলছেন, রোহিঙ্গা বিপর্যয়ের মতো এমন সংকট বিশ্ব খুব কমই দেখেছে

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বলেছেন, মাত্র এক মাসের মধ্যে অর্ধ-মিলিয়নেরও (৫ লাখ) বেশি শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে, বিশ্ব এমন দ্রুতগতির শরণার্থী সংকট খুব কমই দেখেছে।

রোহিঙ্গা সংকট পরিদর্শনে ৩ দিনের বাংলাদেশ সফরের শেষ দিন বুধবার (১৮ অক্টোবর) কক্সবাজার ঘুরে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়াসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করছে আইওএম।

ল্যাসি সুইং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আইওএমের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়ে তার বিবৃতিতে বলেন, রাখাইন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে দুর্বিপাক বিরাজমান তা খুবই পীড়াদায়ক। একেবারেই স্বল্প সহায়তা মিললেও ভুগতে হচ্ছে বহু মানুষকে।  

২৫ আগস্ট থেকে যে শরণার্থী ঢল বাংলাদেশ অভিমুখে শুরু হয়েছে তাতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজারে।

আইওএম প্রধান বলেন, আমি দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে, যাদের ক’দিন আগেই জন্ম হয়েছে, মুষুলধারে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তাদের মায়েরা পালিয়ে আসছেন বাংলাদেশে। অনেক বাচ্চা কেবল তাদের মা-বাবাকেই হারায়নি, তাদের বেঁচে থাকার আশাও হারিয়ে ফেলেছে।  

তিনি বলেন, এই নারী ও শিশুদের জন্য আমাদের কিছু করতেই হবে। এরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে সংকটাপন্ন মানুষ। আমরা ঠিকভাবে সহায়তা না দিতে পারলে হাজারো মানুষ খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।

সফরে আইওএম মহাপরিচালক বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি আলোচনায় রোহিঙ্গাদের জন্য জীবনরক্ষাকারী সহায়তার বিষয়ে কথা বলেন।

এসব আলোচনার বিষয়ে বিবৃতিতে ল্যাসি সুইং বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যেভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত। স্থানীয় জনগোষ্ঠীও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তিনি রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গঠিত কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তাবয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।