রোববার (০৩ ডিসেম্বর) ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এর উদ্বোধন করেন। কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য এই বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থ ও পাকিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার না করে আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক জোরদার করতে ছাবাহারে বন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। জানা যায়, ভারত এর পেছনে খরচ করেছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
বন্দরের সার্বিক কাজ কেমন এগিয়েছে, তা দেখতে রাশিয়া সফর শেষে ভারতে ফেরার পথে শনিবার তেহরান পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
আগামী বছরের শেষ দিকে এখানে পুরো দমে পণ্য ওঠা-নামার কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলে ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের ছাবাহারে বন্দর গড়ে ওঠায় এবার পাকিস্তানি ভূখণ্ড ব্যবহার না করেই পশ্চিম উপকূল থেকে ভারত ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারবে। দ্রুত যোগাযোগ স্থাপিত হবে আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দেশগুলোর সঙ্গে।
বন্দর নির্মাণের জন্য ভারত ও ইরানের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল ২০১৬’র মে মাসে।
মূলত পাকিস্তানের গোয়াদরে বন্দর বানিয়ে ভারতকে পশ্চিম দিক থেকে ঘিরে ফেলতে চায় এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। গোয়াদর বন্দর থেকে ছাবাহারের দূরত্ব মাত্র ৭২ কিলোমিটার। ছাবাহার যার একটি উল্টো জবাব।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৭
আইএ