ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নাইজেরিয়ার আবু মুসাব আল-বার্নাবি এবং সোমালিয়ার মাহাদ মোয়ালিমের নাম রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ, মিশর, ফিলিপিন্স, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি যে গোষ্ঠীকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ফেলেছে, তাদের আইএসআইএস-বাংলাদেশ নামে চিহ্নিত করেছে।
এই পদক্ষেপ আইএসের জন্য ‘নিরাপদ স্বর্গ’ ধ্বংস, বিদেশি যোদ্ধাদের দলে ভেড়ানোর সুযোগ বন্ধ, অর্থের উৎস নির্মূল, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা সীমিত করার পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ার মুক্ত অঞ্চলে লোকজনের ফিরে যাওয়ায় সহযোগিতা করছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) আত্মপ্রকাশ ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশিদের গ্রুপ আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। তখন থেকেই দেশের মধ্যে সংঘটিত একাধিক হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হন দেশি-বিদেশি ২২ নাগরিক। কমান্ডো অভিযানে নিহত হন ৫ জঙ্গিসহ ছয়জন। সন্ত্রাসী এ হামলার প্রথম খবর প্রকাশ করে আইএসের মিডিয়া হিসেবে পরিচিত ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’। আইএসের পক্ষে এর দায় স্বীকার করা হয়। এরপর বিভিন্ন হামলায় আইএস দায় স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
আরআর