সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়াফিদিন চেক পয়েন্ট দিয়ে সোমবার রেড ক্রসের ত্রাণবহরটি প্রবেশ করেছে।
বহরটি প্রবেশ করার পরপরই আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির মধ্যপ্রাচ্য শাখার প্রধান রবার্তো মারদিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, লাখো মানুষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় ত্রাণ নিয়ে একটি বহর (পূর্ব ঘৌতায়) প্রবেশ করতে পারলো।
ত্রাণবহরের সঙ্গে যাওয়া আলি আল জা’তারি নামের জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাটিতে এসব ত্রাণ খালাস করতেই বহু ঘণ্টা লেগে যাবে। এমনকি সারারাতও লেগে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া ও সিরিয়ার বিমানবাহিনীর টানা বোমা বর্ষণ ও হামলার মুখে ৭০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পঙ্গু ও আহত হয়েছে কয়েক হাজার। এরপর বহু দেনদরবার শেষে মানবিক কারণে ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে আনা ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয় রাশিয়া।
অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছিল না। কোনো ত্রাণবহরও ঢুকতে পারছিল না। অবশেষে সোমবার সে অচলাবস্থার অবসান ঘটলো।
রেডক্রসের একজন কর্মকর্তা জানানম, সোমবারের এই ত্রাণ বহরটিতে অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামসহ অত্যাবশ্যকীয় চিকিসা সরঞ্জাম এবং খাদ্য ও আটাভর্তি ৫ হাজার ৫শ বস্তা খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। যা দিয়ে ৪ লাখ বাসিন্দা অধ্যুষিত এলাকাটির মাত্র ২৭ হাজার ৫শ লোকের প্রয়োজন মিটবে।
আশা করা হচ্ছে, বিবদমান পক্ষগুলো অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মতো হঠকারি কোনো কিছু করে না বসলে আরও ত্রাণবহর এলাকাটিতে প্রবেশ করতে পারবে এবং বেসামরিক নাগরিক ও আহতদের সেখান থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ...ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
জেএম