বুধবার (১৪ মার্চ) তার পরিবারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।
স্টিফেন হকিং এর তিন সন্তান লুসি, রবার্ট এবং টিম বলেছেন- ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় বাবা মারা গেছেন আজ।
তাত্ত্বিক জ্যোতি-পদার্থবিজ্ঞানী হকিং কৃষ্ণবিবর ও আপেক্ষিকতাবাদ নিয়ে তার অসামান্য ও বৈপ্লবিক পর্যবেক্ষণ ও কাজের জন্য বিজ্ঞানের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তিনি বেশকিছু বিজ্ঞান-গ্রন্থের প্রণেতা । এসবের মধ্যে আছে তার অতিজনপ্রিয় বেস্টসেলার ‘সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ (আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম)।
সমূহ শারীরিক বিকলতার মধ্যেও তার মস্তিষ্ক ছিল সদা কার্যকর। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি তার উদ্যম ও কর্মস্পৃহাকে, তার চিন্তা ও অন্বেষণের ধারাবাহিকতাকে। তার চিন্তা ও অভিনিবেশ গোটা মানবজাতিকে সমৃদ্ধ করে গেছে আমৃত্যু। মোটর নিউরন রোগে চিরপঙ্গু হয়ে জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্ত হুইল চেয়ারবন্দি থাকলেও তিনি থেকেছেন সদা প্রাণবন্ত। দীপ্তিমান রসিকতার জন্য কাছের মানুষদের কাছে তার সান্নিধ্য ছিল খুবই প্রীতিকর।
গার্হস্থ্য জীবনের সুখ ও আনন্দকে খুব বড় করে দেখতেন হকিং। একদা তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই মহাবিশ্ব ততোটা মহাবিশ্ব হয়ে উঠতো না, যদি তাতে ভালোবাসার মানুষেরা না থাকতো। ’’
পরিবার-অন্তপ্রাণ, সন্তানবৎসল স্টিফেন হকিংয়ের সন্তানরা তাই তার শূন্যতা অনুভব করবেন তীব্রভাবে: ‘‘চিরকাল আমরা তার না-থাকার বেদনা অনুভব করে যাবো। ’’
স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম ১৯৪২ সালে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে। বছরকয় আগে হকিংকন্যা লুসি হকিং বাংলাদেশ সফর করে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮/ আপডেট ১০৫৩ ঘণ্টা
এসএইচ/ জেএম