ভাষণে তিনি চীনকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দেশুগলোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, নিজের অখণ্ডতা রক্ষা এবং পৃথিবীতে নিজের সঠিক ও ন্যায্য স্থানটি ফিরে পেতে চীন এক রক্তাক্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, চীনা প্রেসিডেন্টর এই হুঁশিয়ারি মূলত পরাশক্তি দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করেই।
শি জিনপিং বক্তৃতায় একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বেইজিং ‘এক চীন নীতি’কে সুরক্ষিত রাখবে। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে।
শি জিনপিং বলেন, চীনকে আলাদা করতে যতো ছলচাতুরিই করা হোক না কেন, আখেরে সেসব ব্যর্থ হবে। চীনের জনগণ একে ধিক্কার জানাবে আর ইতিহাস শাস্তি দেবে।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চীন যে ব্যাপক উন্নয়নকাজ চালাচ্ছে, সেসব নিয়ে সমালোচনামুখর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো একে অর্থনৈতিক আগ্রাসন এবং হুমকি হিসেবে দেখছে। তাদের এহেন মনোভাবেরও কড়া সমালোচনা করেন শি জিনপিং।
বার্ষিক ভাষণে জিনপিং বলেন, অন্যদের হুমকি দেবার বদভ্যাস যাদের আছে, তারাই অন্য সবাইকে হুমকি বলে মনে করে।
চীনাদের মরণপণ লড়াইয়ের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শি জিনপিং বলেন, যুদ্ধ বাঁধলে চীনারা তাদের শত্রুুদের লড়াইয়ের তিক্ততম অভিজ্ঞতা উপহার দেবে।
ভাষণে শি জিনপিং ''সমাজতন্ত্রই চীনের একমাত্র রক্ষাকবচ'' বলেও উল্লেখ করে বলেন, ''চীন তার সমাজতান্ত্রিক আদর্শকে কখনোই বিসর্জন দেবে না।
চীন সমাজতন্ত্রের পথে ছিল এবং থাকবে বলেও দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেন শি জিনপিং।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
জেএম