ফেসবুকের এই সমস্যাকে ‘আদর্শগত’ আখ্যায়িত করে জুকারবার্গ বলেন, ফেসবুকের নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে ভাবিনি। কিন্তু মানুষ যখন এটি ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তখন আমরা বুঝতে পারছি।
তিনি বলেন, আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে সমস্যাটি এতো জটিল যে এটির সমাধান করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এই সমস্যার সমাধান দুই-তিন মাসের মধ্যে করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ফেসবুকের ত্রুটির সমাধান সময়সাপেক্ষ।
সম্প্রতি ফেসবুক থেকে তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনা জানাজানির পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন জুকারবার্গ। গত সপ্তাহে ফেসবুকের ব্যবসা পদ্ধতির সমালোচনা করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। তবে এ সমালোচনার উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন জুকারবার্গ।
টিম কুক জুকারবার্গের সমালোচনায় বলেন, মানুষের দেওয়া তথ্য থেকে অর্থ উপার্জনের যে ব্যবসা পদ্ধতি নিয়ে ফেসবুক কাজ করছে, তার জন্যই সমস্যায় পড়েছে ফেসবুক।
টিম কুকের মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করে জুকারবার্গ বলেন, যে গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করে না, তার প্রতি আমরা যত্নশীল হই না-আমার মনে হয় এমন যুক্তির সঙ্গে সত্যের কোনো মিল নেই। আপনি যদি এমন কোনো সেবা দিতে চান, যা পৃথিবীর সবাইকে যুক্ত করে, তবে অনেক মানুষ পাবেন যাদের সে সেবার জন্য মূল্য পরিশোধের সামর্থ্য নেই। এ ক্ষেত্রে সমর্থিত ব্যবসায়িক মডেল একমাত্র যুক্তিসম্মত মডেল, যা এ ধরনের ব্যবসা সমর্থন করতে পারে।
ফেসবুকের তথ্য ফঁস হওয়ায় ভুল স্বীকার করেন জুকারবার্গ। ব্রিটেনভিত্তিক ডাটা অ্যানালাইটিক ফার্ম ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিক ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে একটি সিস্টেম দাঁড় করায়। আর ওই সিস্টেম দিয়ে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার চালানো হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তবে ফেসবুক থেকে অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহারের সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
আরআর