ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক স্ক্রফারের ব্লগে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, তথ্য ফাঁস হওয়া গ্রাহকদের মধ্যে ১১ লাখ যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা।
পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না হয় সেজন্য নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন, আমাদের আরও কিছু করা উচিৎ এবং আমরা তা করছি।
এক সংবাদ সম্মেলনে জুকারবার্গ জানান, তিনি আগে ভাবতেন ফেসবুক মানুষকে বিভিন্ন টুলস দিয়েছে। সেটি কে, কিভাবে ব্যবহার করবে সেই দায় ব্যবহারকারীর ওপরই বর্তায়।
কিন্তু তথ্য ফাঁস হওয়ার পর তার ধারণা বদলে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার চিন্তা সীমাবদ্ধ ছিল। আমি এখন বুঝতে পারছি ফেসবুককে আরও দায়িত্ব নিতে হবে।
জুকারবার্গ জানান, অনুসন্ধানে নতুন আরেক সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন তারা। ফেসবুকের সার্চ বক্সে ই-মেইল বা ফোন নম্বর দিয়ে ব্যবহারকারীকে খোঁজার যে ফিচারটি আছে কিছু লোক তার অপব্যবহার করছে। আপাতত এই ফিচারটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে একটি সিস্টেম দাঁড় করায়। আর ওই সিস্টেম দিয়ে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার চালানো হয়।
ওই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলি গত মাসে ওই ঘটনা ফাঁস করে দিলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক।
তবে ফেসবুক থেকে অবৈধভাবে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহারের সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
আরআর