শুক্রবার (০৬ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত এ রায় দেন। ‘জনস্বার্থে’ গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে এ রায় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। পুলিশ হেফাজতে থাকলেও রায় ঘোষণার সময় আদালতে তাকে আনা হয়নি।
খবরে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকা কালে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ এবং দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্কের বিরুদ্ধে। এরপর তার বিচার দাবিতে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
টানা ১০ মাসেরও বেশি শুনানি শেষে সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ১৮টি ফোজদারি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, এর মধ্যে আছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বান্ধবী চই সুন সিলের সঙ্গে স্যামসাং ও লোটের মতো কোম্পানিকে অবৈধ সুবিধা দেওয়াও।
খবরে বলা হচ্ছে, এ সুবিধা দিয়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক ৭৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ওয়ান নিয়েছেন। যা দিয়ে দু’টি দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলেছেন তিনি। তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক কিম সি উন বলেন, ‘অভিযুক্ত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ’
এদিকে ৬৬ বছর বয়সী পার্ক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রায় একবছর ধরে সিউলের কাছে একটি ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন, সেখানে দুই আইনজীবী ছাড়া আর কারও সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না তিনি। এমনকি তার ভাই-বোনের সঙ্গেও।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজনীতিক পার্ক চুং হাইয়ের মেয়ে ২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি’র অভিযোগে ২০১৭ সালের ১০ মার্চ তাকে অভিসংশন করা হয়।
ওই সময় সিউল ও দেশের অন্যান্য শহরেও পার্কের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। স্যামসাং কর্তা বান্ধবী চইয়ের সঙ্গে তার অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে পার্কের পুরানো বান্ধবী চইকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় সিউলের একটি আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানা নিয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা
এমএ