ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক মাইক পম্পেও’র নেতৃত্বে একটি দল আলোচনা চালাচ্ছে। ট্রাম্প ও জং-উন বৈঠকের আয়োজনে দেশ দুটির গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতনরা বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছেন।
পিয়ংইয়ংকেই আলোচনার উপযুক্ত স্থান হিসেবে মনে করছে উত্তর কোরিয়া। সম্ভাব্য স্থান হিসেবে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটরের নামটাও রয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস এ সম্পর্কে এখনও কিছুই জানায়নি। তবে শিগগিরই সিআইএ প্রধান উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা আরজিবির প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ধারণা করা হচ্ছে সেই বৈঠকে দুই ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধানের গোপন বৈঠকের স্থান নির্ধারিত হবে।
আর তারপরই সম্ভাব্য তারিখ ও বিস্তারিত আলোচ্য সূচি নির্ণয় করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
জানা গেছে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার টেবিলে বসানোর তাগিদে মধ্যস্থতার কাজটি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ং এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমে ট্রাম্পকে আলোচনার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যদিও উত্তর কোরিয়া বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।
এদিকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মাইক পম্পেও’র মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করার কথা রয়েছে। সিআইএ প্রধানের পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়ালে এ বৈঠক সম্পন্ন হতে সংকট সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন মার্কিন প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।
এ কারণে দ্রুতগতিতে গোপন বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। মে মাসের শেষ কিংবা জুন মাসের শুরুর দিকে প্রতীক্ষিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ