চিকিৎসা ও ত্রাণ বিতরণকারী বিভিন্ন সংস্থার বরাত দিয়ে রোববার (০৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেটসের করা টুইটের উদ্ধৃতি করে খবরে বলা হয়, সরকারি বাহিনীর চালানো হামলায় ওই এলাকায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে।
কিছুক্ষণ পর অপর এক টুইটে সংস্থাটি আবারও জানায়, ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এক প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, এই ত্রাণ সংস্থার নিরূপিত নিহতের সংখ্যা বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়। এমনকি নিরপেক্ষ কোনো মাধ্যম থেকে এটি যাচাইও করা হয়নি।
সিরিয়ায় কাজ করা অপর একটি ত্রাণ সংস্থা বলছে, দৌমায় গ্যাস হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। তবে ওই সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে পশ্চিমা গণমাধ্যমে হতাহতের এমন খবর প্রকাশিত হলেও দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। উল্টো তারা অভিযোগ এনেছে, দৌমায় গ্যাস হামলার ঘটনার কোনো ভিত্তি নেই।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, এতে কমপক্ষে ৪০জনের মতো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে। এছাড়া বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে গ্যাস হামলার ঘটনা যদি প্রমাণিত হয়, এর দায় রাশিয়াকেই নিতে হবে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, দৌমায় হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে। তবে সেখানে গ্যাস হামলা চালানো হয়নি, সাধারণ অস্ত্রই ব্যবহার হয়। এতে সৃষ্ট ধোঁয়ায় নিহত হন তারা। এ ঘটনায় ৭০ জনের মতো মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগছে।
এদিকে সিরিয়া সরকার এ ঘটনাকে ‘ফ্যাবরিকেশন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব ঘৌতায় ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকারি বাহিনীকে এ হামলায় অভিযুক্ত করা হলেও পেছনে রাশিয়ার ইন্দন রয়েছে বলেই খবর প্রচলিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এমএ