ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরির কেলেঙ্কারির ঘটনায় বুধবার (১১ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে এ তথ্য জানান খোদ জুকারবার্গ।
ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বিচার ও বাণিজ্য বিষয়ক যৌথ কমিটির ৪৪ জন সিনেটরের মুখোমুখি হন তিনি।
এ সময় জুকারবার্গ কংগ্রেস সদস্যদের জোর দিয়ে বলেন, তথ্য চুরির ঘটনা ঘটলেও ব্যবহারকারীরা এর বেশি নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।
ধূসর রংয়ের টি-শার্টে পরিচিত জুকারবার্গ এদিন কালো রংয়ের স্যুট পড়ে সিনেটরদের মুখোমুখি হন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী জেরার মুখে তাকে এক পর্যায়ে বেশ বিমর্ষ দেখা যায়।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন তিনি রাশিয়া থেকে ক্রমাগতভাবে ফেসবুকের অপব্যবহারের চেষ্টা চলছে বলে সিনেটরদের জানিয়েছিলেন।
ব্রিটেনভিত্তিক ডাটা অ্যানালাইটিক ফার্ম ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে একটি সিস্টেম দাঁড় করায়। আর ওই সিস্টেম দিয়ে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার চালানো হয়।
গত মার্চে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে ওই সময় এক বিবৃতিতে গ্রাহকের তথ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার কৌশল নির্ধারণের কাজে লাগানোর ঘটনায় ভুল স্বীকার করেন জুকারবার্গ।
বিবৃতিতে জুকারবার্গ বলেন, আপনাদের (গ্রাহক) তথ্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের, যদি তা না পারি তাহলে আপনাদের সেবা করার কোনো অধিকার নেই।
‘আমি ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করি, এবং এ প্লাটফর্মে যা কিছু হয় তার সবকিছুর জন্য দিনশেষে আমিই দায়বদ্ধ’।
এর কয়েকদিন পর আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেসবুক প্রধান নির্বাহী বলেন, এখান থেকে তথ্য বেহাত হওয়া, আইডি হ্যাক হওয়াসহ নানা সমস্যার সমাধান করতে কয়েক বছর সময় লাগবে।
ফেসবুকের এ সমস্যাকে ‘আদর্শগত’ আখ্যায়িত করে জুকারবার্গ বলেন, ফেসবুকের নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আগে ভাবিনি। কিন্তু মানুষ যখন এটি ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তখন আমরা বুঝতে পারছি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এমইউএম/জেডএস