প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেপাল সময় দুপুর ২টা ১৯ মিনিট ১০ সেকেন্ডে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে ২টা ১৭ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড পর্যন্ত প্লেনটির সঙ্গে টাওয়ার কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ স্বাভাবিক ছিলো।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য-প্রমাণ উদ্ধার করে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার কথা জানানো হয়েছে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে প্লেন দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়ার প্রসঙ্গে বলা হয়, ৭/৮ কিলোমিটার গতির পশ্চিমা বাতাসের আধিপত্য ছিলো ওই এলাকায়। দৃষ্টিসীমা ছিলো ৬/৭ কিলোমিটার। আকাশে হালকা মেঘ ছিলো, কাঠমান্ডুর আকাশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো।
প্লেনটি আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে যায় এবং রানওয়ের বাইরের ভূমিতে চলে যায়। আছড়ে পড়ার স্থান থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে ৪৪২ মিটার গিয়ে থামে। এ সময় এতে আগুন ধরে যায়, মূলত আগুন লাগার কারণেই পুরো এয়ারক্রাফটি ধ্বংস হয়ে যায়।
বিধ্বস্তের ২ মিনিটের মধ্যে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের নিয়মানুযায়ী দুর্ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপনকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে যাত্রী, ক্রু, পাইলটসহ ৫০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এমইউএম/জেডএস