নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এমন দাবি করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমই। যদিও এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি।
গত মাসে রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করার পর শূন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে পোম্পেওকে বসাতে চাইছেন ট্রাম্প। সেই পদেরই যেন অধিকর্তা হিসেবে ‘আগাম দায়িত্ব’ সেরে এলেন সিআই প্রধান। অবশ্য তিনি এই সফরে হোয়াইট হাউস বা পররাষ্ট্র দফতরের কাউকে সঙ্গে নেননি। ছিলেন কেবল তার সংস্থারই কর্মকর্তা।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোম্পেও হোয়াইট হাউসের ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে কিম জং-উনের সঙ্গে ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনার ময়দান প্রস্তুত করতে পিয়ংইয়ং গিয়েছেন। এর ফল হিসেবে আগামী মে মাসের শেষ অথবা জুনের শুরুর দিকে বৈঠকে বসতে দেখা যেতে পারে দুই নেতাকে। যা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন নেতাদের প্রথম সরাসরি আলোচনার মাইলফলক।
গত বছর উত্তর কোরিয়ার দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পরমাণু বোমার পরীক্ষার প্রস্তুতির খবরে দ্বন্দ্বে জড়ায় ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং। কোরিয়া উপদ্বীপ ঘেঁষে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর মহড়াও চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। ট্রাম্পকে ‘পাগলা কুকুর’র সঙ্গে তুলনা করলে উত্তর কোরিয়াকে ‘শায়েস্তা’ করার হুঁশিয়ারিও দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে বছরের শেষ দিকে উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে আসে। পরে দু’পক্ষই আলোচনায় আগ্রহ দেখায়।
এই আগ্রহেরই প্রকাশ ঘটিয়ে ফ্লোরিডায় জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে’র সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সরাসরি...অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছি। ’
ট্রাম্প জানান, ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর সেটার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির জন্য শান্তিচুক্তি করতে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়া যে আলোচনা করছে, সেটার জন্য তার ‘আশীর্বাদ’ রয়েছে।
এই ট্রাম্প ও কিম জং-উনের মধ্যে বহুলকাঙ্ক্ষিত আলোচনার মধ্য দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপ ঘেঁষে উত্তেজনার ‘স্থায়ী সমাপ্তি’ ঘটবে কি-না, সেদিকে তাকিয়ে চীন-রাশিয়া-জাপানসহ গোটা বিশ্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এইচএ/