সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর বলেন, বৃহত্তর আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে রিয়াদ সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর আগ্রহ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে। রিয়াদ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতিয়েরেসের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) আয়োজিত যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছিলেন সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিরিয়ায় সেনা পাঠাতে সৌদির এই ইচ্ছে ‘নতুন নয়’ দাবি করে আদেল আল-জুবেইর বলেন, সিরিয়ার সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই সেখানে সেনা মোতায়েনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ চলছে আমাদের। এমনকি এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছেও প্রস্তাব দিয়েছিল সৌদি আরব। যদি তখন অনুমতি মিলতো, তখনই আমরা আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে সেখানে সৈন্য পাঠাতে পারতাম।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধক্ষেত্রটিতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠী দমনের নামে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো। রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে। আবার মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির বড় প্রভাবক ইরানের সমর্থন আসাদের দিকে। রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে থাকলেও আসাদের বিরোধী তুরস্কও। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে রয়েছে আসাদের বিদ্রোহী সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক ও সামরিকভাবে মদদ যোগানোর অভিযোগ।
অবশ্য দেশটি ২০১৪ সালে আইএস দমনে পশ্চিমাদের সঙ্গে বিমান হামলা অংশ নেয়। এরপর ২০১৬ সালে আইএসবিরোধী যুদ্ধে নিজেদের সেনা মোতায়েনে প্রস্তুতির কথা জানায়।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সৈন্যদের সরিয়ে নিয়ে সেখানে সৌদি ও তাদের পড়শী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাহিনী স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনার কথা বলেন। এরপরই সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য এলো। যদিও সিরিয়ার পরিস্থিতি সৌদির সামাল দেওয়ার সক্ষমতার বিষয়ে ওয়াশিংটনের নেতৃত্ব সন্দিহান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এইচএ/