সোয়াজির ৫০ বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি স্টেডিয়ামে এমন ঘোষণা দেন এমসোয়াতি। এই উদযাপনে আবার ছিল তারই ৫০তম জন্মদিন।
নতুন নাম ইসোয়াতিনির মানে দাঁড়ায় ‘ল্যান্ড অব দ্য সোয়াজিস’। এর বাংলা অর্থ ‘সোয়াজিদের ভূমি’। এই পরিবর্তনটি আকস্মিক হলেও রাজা এমসোয়াতি দীর্ঘদিন ধরে ইসোয়াতিনি করার চেষ্টা করছিলেন।
এর আগে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সমাবেশে রাজা ‘সোয়াতিনি’ নামটি ব্যবহার করেছিলেন। যেখানে ২০১৪ সালে দেশটির সংসদে রাজ্য উদ্বোধনের সময়ও ব্যবহার করেন।
বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলো অবশ্য আগে থেকেই সোয়াজিল্যান্ডের নেতৃত্বের সমালোচনা করে আসছে। যেখানে দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা থেকে শুরু করে নারীদের ওপর পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়।
বিবিসির সোয়াজিল্যান্ড প্রতিনিধি নোমাস মাসেকো জানান, দেশটির নাম পরিবর্তনের ঘোষণা পর অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন, রাজাকে দেশটির বর্তমান মন্দ অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে নজর দেয়া উচিৎ।
এমসোয়াতির বাবা দ্বিতীয় সোবহুজা তার ৮৩ বছরের জীবদ্দশায় ৮২ বছরই রাজা হিসেবে ছিলেন। জানা যায় তার ১২৫ জন স্ত্রী ছিল। আর ছেলে এমসোয়াতির বর্তমানে ১৫ জন স্ত্রী রয়েছে।
সোয়াজিল্যান্ডের রাজারা এনগোয়েনয়ামা বা ‘দ্য লায়ন’ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া বহু স্ত্রী ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকও তাদের পরিচয় বহন করে।
সোয়াজিল্যান্ড আফ্রিকার ছোট্ট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। ১৯৬৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। এখানকার সরকারি ভাষা সোয়াজি ও ইংরেজি। জনসংখ্যা, ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮জন। আর দেশটির মোট আয়তন ৬ হাজার ৭০৪ বর্গ মাইল।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল, ২০১৮
এমএমএস