প্রাথমিকভাবে আবু ধাবির আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই সীমান্ত পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার লম্বা হাইপারলুপ ট্র্যাক (যে টিউবের ভিতর দিয়ে বাহনটি চলাচল করবে) নির্মিত হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তা সৌদি আরবের রিয়াদ পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটার বর্ধিত করা হবে।
প্রকল্পটির দায়িত্ব পেয়ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনলোজিস’। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, দুর্বারগতির এ যাতায়াত ব্যবস্থা যাত্রী পরিবহণ ছাড়াও বিভিন্ন বন্দর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে কার্গো বহনে যুগান্তরকারী ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বিবব গ্রেস্তা বলেন, এটা হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক হাইপারলুপ ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বড় অঞ্চলকে হাইপারলুপ যাতায়াতের আওতায় আনার প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের।
হাইপারলুপ যাতায়াত ব্যবস্থার ধারণাটি ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে তুলে ধরেন মার্কিন উদ্ভাবক ইলন মাস্ক। তার প্রস্তাবিত আইডিয়াতে বলা হয়, হাইপারলুপের মাধ্যমে লস অ্যাঞ্জেলাস থেকে সান ফ্রান্সিস্কোতে যাতায়াত করা সম্ভব মাত্র ৩০ মিনিটে, অর্থাৎ দ্রুতগামী প্লেনে যাতায়াতের চেয়েও অর্ধেক সময়ে।
হাইপারলুপ মূলত একটি লম্বা টিউব যার মধ্যে থেকে সব বাতাস বের করে শূন্যস্থান তৈরি করা হয়। ফলে এই বায়ুশূন্য টিউবের ভেতর দিয়ে চুম্বক শক্তি কাজে লাগিয়ে প্রচণ্ড গতিতে যায়াতায়াত করতে পারে যানবাহন আকৃতির কোনো কাঠামো। বর্তমানে ইলন মাস্কসহ বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নেমেছে হাইপারলুপ যাতায়াত ব্যবস্থা নির্মাণের প্রতিযোগিতায়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এনএইচটি