তাদের মতে, এর ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কেননা বোমা বিস্ফোরণের পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে চারটি ভূমিকম্প হয়েছে।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Science and Technology) বিজ্ঞানীদের মতে, পরমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের সাড়ে আট মিনিটের মধ্যে এমন ভূকম্পন এই প্রথম হলো। যা ছিল উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষাকেন্দ্রটি ধসে পড়ার জন্য যথেষ্ট। এবং হয়েছেও ঠিক তাই (... it caused an on-site collapse at the test site)।
গবেষণায় বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মেন্তাপসন পর্বতে পারমাণবিক পরীক্ষার প্রচণ্ড অভিঘাতে পরীক্ষাস্থলটি ধসে পড়েছে। সেখানে ভূ-পতনের ঘটনা ঘটেছে। তাই সেখান থেকে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে কিনা তা মনিটর করা খুব জরুরি। পরীক্ষাস্থলটি ধসে পড়ার কারণে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক।
এদিকে, চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে সংগৃহীত নমুনায় তেমন কোনো আলামত খুঁজে পায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দেয় যে, তাদের ১০০ কিলোটনেরও বেশি ক্ষমতার হাইড্রোজেন বোমাটির পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। একই দিনে ভূমিকম্প বিষয়ে চীনের বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্র উত্তর কোরিয়ায় ৬ দশমিক ৩ মাত্রায় একটি ‘সন্দেহভাজন বিস্ফোরণ’ রেকর্ড করে। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার হামজিওং প্রদেশ এলাকায় ৫ দশমিক ৬ মাত্রায় একটি কৃত্রিম ভূমিকম্পের সন্ধান পেয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর।
গত সপ্তাহে কেসিএনএ সংবাদ সংস্থা জানায়, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে সংকল্পবদ্ধ। এজন্যই তিনি পরমাণু অস্ত্রপরীক্ষা ও ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। তার মনোযোগ এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে।
পরমাণু অস্ত্রের যাবতীয় পরীক্ষা বন্ধ করা, কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করা এবং চলমান বৈরিতার চির অবসানের লক্ষে জুন মাসের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন এক যুগান্তকারী আলোচনায় মিলিত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
টিএ/জেএম