দু’দিনের সফরে শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চীনের মধ্যাঞ্চলের হাবেইয়ের উহান প্রদেশে পৌঁছালে স্থানীয় সংস্কৃতির ছন্দে মোদীকে অভ্যর্থনা জানান জিনপিং। দেওয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা।
শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে নৌবিহার উপভোগ করেন দুই নেতা। তাদের সকালটা শুরু হয় ‘চায়ের আড্ডায়’। সেই আড্ডায় মোদী কথা বলেন দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে। এসময় দুই নেতাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে দু’পক্ষের শীর্ষ সামরিক পর্যায়ে সংলাপে অগ্রগতি আনতে সহমত। দুই নেতাই মনে করেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিমত থাকলেও ভারত ও চীন দু’পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার মতো পরিণত ও প্রজ্ঞাবান। এসময় শি জিনপিং দু’পক্ষের সম্পর্কে ‘নবযুগ’র সূচনার ডাক দেন।
সীমান্তের দুকলাম মালভূমিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বছরের মাঝামাঝিতে তুমুল উত্তেজনায় জড়ায় ভারত-চীন। দু’পক্ষই ব্যাপক সৈন্য-সামন্ত জড়ো করে সীমান্তে। তবে নয়াদিল্লি-বেইজিং পরে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনার ইতি টানে। সেই পরিস্থিতির পর বিশ্ব ফোরামে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয় মোদী ও জিনপিংয়ের। এবার সরাসরিই চীনে চলে গেলেন মোদী।
ফেরার আগে জিনপিংকে আগামী বছর একই ধরনের ‘ঘরোয়া’ ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে মোদী বলেন, বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবেই ভারত ও চীনকে বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
এইচএ/জেএম