শুক্রবার (০৪ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, নিহতের মধ্যে ১২১ জন উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখন্ড এবং পাঞ্জাবের অধিবাসী।
ধূলিঝড় ও বজ্রবৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের হাজারো মানুষ। ঝড়ে ওই এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রায় ৮০ মাইল (১৩০ কিলোমিটার)।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে, নিহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শুধু আগ্রা জেলাতেই ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আগ্রার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী মুন্না লাল ঝা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, এমন দুর্যোগ হয়ে গেছে যে ঝড় আসছে এই আশঙ্কায় আমরা চোখই বুঁজতে পারি না। আমাদের প্রস্তুতি ছিল কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে কিছুই রক্ষা হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আগ্রা জেলার শুধু খেরাগড়েই নিহত হয়েছে ২৪ জনের। আর ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে রাজস্থানে। রাজ্যটিতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১০০ কিলোমিটার। এ ঝড়ে মানুষের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতিক্ষতি ছাড়াও বিভিন্ন গাছ ও বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। ফলে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো অঞ্চল।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাসে বলছে, শনিবারও (০৫) ওইসব এলাকায় ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান আর ভি চন্দ্রবধন বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে চলমান আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যটিতে সাতজনের প্রাণহানি ঘটে। যাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে দেয়াল ও গাছ-উপড়ে বা চাপা পড়ে।
চন্দ্রবোধন বলেন, পরবর্তী আরও দু’দিন রাজ্যে আবহাওয়া সতর্কতা জারি রয়েছে। নিহতদের বাকি ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। যাদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। ওইদিন প্রায় ৪১ হাজার বজ্রপাত হয়। এ ঘটনায় অনেকে আহতও হয়েছেন।
ঝড় ও বজ্রপাতে ভারতে প্রতিবছরই হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (০৩ মে) হওয়া ধূলিঝড় ও বজ্রপাতের ঘটনাটি সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮/আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা
এমএ/