বর্বরোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নকশাল বাহিনী অধ্যুষিত ছত্র জেলায়। শুক্রবার (৪ মে) সংবাদমাধ্যমে এ খবরটি আসার পর পুরো ভারতজুড়ে আলোচনার ঝড় চলছে।
ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, একটি বিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ওই কিশোরীকে সেই অভিযুক্তসহ চার মাতাল যুবক তুলে নিয়ে যায়। এরপর একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।
এ নিয়ে ওই কিশোরীর বাবা গ্রামের মাতবর এবং অন্যদের অভিযোগ দিলে সালিশ বসে। সেখানে ধর্ষককে ১০০ বার ওঠবস করতে বলা হয় এবং ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়।
শাস্তি পাওয়ার পর সেই ধর্ষক পরের রাতেই কিশোরীর বাড়িতে যায়। তার মা-বাবাকে বেধড়ক পিটুনির পর ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর ওই কিশোরীকে ঘরে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পুড়ে মারা যায় ধর্ষিত মেয়েটি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আগুন দিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাকে ও তার সহযোগীদের পাকড়াও করতে অভিযান চলছে।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে তরুণীকে গণধর্ষণের পর ফেলে দিয়ে হত্যায় ভারতজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। সরকার-প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিলেও সবশেষ কাশ্মীরেই ৮ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। যে ঘটনায় সরকার-প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাও অভিযুক্ত। এমন বর্বরোচিত সব হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ঝাড়খণ্ডের এই ঘটনা ভারতীয় প্রশাসনকে আরও চাপের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৮
এইচএ/