নির্বাচনকে ঘিরে দেশটির সাধারণ জনগণ দুই জোটের হয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ মে) দেশটির স্থানীয় সময় রাত ১২টায় শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।
মাহাথির মোহাম্মদ যদি নির্বাচনে অংশ না নিতেন, তাহলে এ নির্বাচন একপেশে হতো বলে অনেকের ধারণা। তার সাবেক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনকে এ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের কর্মকাণ্ডে হতাশ হয়ে ২০০৩ সালে এ দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মাহাথির। সেখান থেকে পদত্যাগের পর মাহাথির নিজেই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। সে দল সরকার বিরোধী জোটে যোগ দেয়।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি বলা হয়। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল ইউএমএনও টানা পাঁচবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। টানা ২২ বছর পর ২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন।
অপরদিকে স্টেট ফান্ড অর্থ-কেলেঙ্কারি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট নন মালয়েশিয়ার সাধারণ জনগণ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তিনি ৭০০ মিলিয়ন ডলার নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে রাজাক বলেছেন, এ অর্থ সৌদি সরকারের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে।
সবকিছু মিলিয়ে বেশ এক জটালো পরিবেশে আছে মালয়েশিয়ার এবারের নির্বাচন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ২২২টি সংসদীয় আসন এবং ৫৮৭টি প্রাদেশিক আসনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৪৯ লাখ ৪০ হাজার ৬২৭ জন। পোলিং সেন্টার থাকবে আট হাজার ৮৯৮টি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/এসআরএস