দেশটির নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাশিম আব্দুল্লাহ ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, পাকাতান হারাপান পেয়েছে ১২১টি আসন (দি পিপলস জাস্টিস পার্টি-পিকআর পেয়েছে ১০৪টি আসন, ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টি-ডিএপি পেয়েছে ৯টি আসন, সাবাহ হেরিটেজ পার্টি পেয়েছে ৮টি আসন), বারিসান নাশিওনাল পেয়েছে ৭৯টি আসন, মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পিএএস) পেয়েছে ১৮ টি আসন ও হোমল্যান্ড সোলিডারিটি পার্টি ১টি আসন পেয়েছে।
হাশিম আব্দুল্লাহ বলেন, বৃস্হপতিবার (১০ মে) ভোরে স্থানীয় সময় ৪টা ৪০ মিনিটে এই ফলাফল নথিভূক্ত করা হয়েছে।
দেশটির পার্লামেন্টের ২২২টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১১২টি আসন পেলেই কোনো জোট বা দল সরকার গঠন করতে পারে। সে অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করছে ৯২ বছর বয়সী মাহাথিরের জোট পাকাতান হারাপান।
ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার রাজপ্রাসাদ থেকেও পাকাতান হারাপানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথিরের শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন বারিসান নাশিওনাল (বিএন) ৭৯টি আসন পেয়ে শুধু পরাজিতই হয়নি। এই হারের মধ্য দিয়ে জোটটির ৬০ বছরের শাসনের অবসান হলো। এ জোটের হয়েই প্রায় ২২ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন মাহাথির। যিনি মালয়েশিয়ার উন্নতি এনে দিয়েছেন।
২০০৩ সালে স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে বারিসান নাশিওনাল জোটের নেতৃত্বে আসেন নাজিব তুন নাজাক। প্রধানমন্ত্রীর থাকাকালে নাজিবের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। যার ফলে অর্থনৈতিক ধসের মুখে পড়ে মালয়েশিয়া। মাহাথির তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।
নাজিব এ আহ্বান না শোনায় বিরোধী জোট পাকাতান হারাপান থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মাহাথির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে বুধবারের (০৯ মে) সাধারণ নির্বাচনে এক ঐতিহাসিক জয়লাভ করেন তিনি। যার মধ্য দিয়ে আবারও মালয়েশিয়ার হাল ধরছেন উন্নয়নের এ মহানায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এমএ/ইইউডি/জেআইএম