সোমবার (১৪ মে) দূতাবাসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগে বিক্ষোভের সময় এ হামলা হয়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গুলিতে দেড় হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৪ সালের ৩০ মার্চের গাজা যুদ্ধের পর ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামে ডাকা এ বিক্ষোভ থেকে এখনই সর্বোচ্চ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শিশু ও প্রতিবন্ধী এ গুলি-হামলার শিকার হয়েছে, এমন খবরও পাওয়া গেছে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গাজার ক্ষমতাসীন নেতা হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিরা ছয় সপ্তাহ ধরে সীমান্তে বিক্ষোভ করে আসছে। বিক্ষোভটিতে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নেন। এ বিক্ষোভে প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের প্রাণ ঝরছে। তবে এখনের হতাহতের ঘটনাই সবচেয়ে বড়। এ নিয়ে ছয় সপ্তাহের বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ৭৭ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ হারাতে হয়েছে।
গাজার বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক আলী বলেন, আজকের দিনটি অনেক বড়। কেননা দখলদারি ঠেকাতে আমরা রুদ্ধহীন। তাই ইসরায়েল ও বিশ্বকে বলব, আমার চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যাব, তবুও দখলদারি মেনে নেব না।
এদিকে, এ বিক্ষোভে চলমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে ইসরায়েলকেই। এর আগে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে মেনে নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ থেকেই গাজায় বিক্ষোভের ডাক আসে।
***জেরুজালেমে স্থানান্তরিত দূতাবাস খুলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
টিএ