খবরে বলা হয়, পরমাণু কেন্দ্রটির বেশ কিছু ভবন এরইমধ্যে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং মাইনিং কার্ট পরিবহনের কিছু রেললাইন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মে মাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে পরমাণু কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিল পিয়ংইয়ং।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব ইউনিফিকেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, পরমাণু কেন্দ্রটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদ সংস্থার একজন রিপোর্টার ও একজন টেলিভিশন ব্রডকাস্টারকে আমন্ত্রণ জানাবে পিয়ংইয়ং।
এপ্রিলের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণুমুক্ত করার ঘোষণা দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এ বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পুঙ্গেরি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রটি বন্ধ করা হবে বলে জানান কিম।
পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক মাসের বাকযুদ্ধের পর দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এর কয়েকদিন আগেও এরকম বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অকল্পনীয়।
উত্তর কোরিয়ার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরমাণু কেন্দ্র উচ্ছেদ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধে পিয়ংইয়ং-এর সিদ্ধান্তকে ‘স্মার্ট মুভ’ আখ্যা দিয়ে প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এনএইচটি