কারণ ভোটের ফলাফলে বিধানসভার ২২২ আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে ১০৪টি। আর কংগ্রেস ৭৮ এবং স্থানীয় দল জেডিএস পেয়েছে ৩৮ টি আসন।
কিন্তু সরকার গঠন করতে কোনো দলকে বিধানসভার ১১৩টি আসন প্রয়োজন। যা কোনো দল-ই পায়নি। তাই ফল ঘোষণার পর কংগ্রেসের সাবেক প্রধান সোনিয়া গান্ধী জেডিএস-এর সঙ্গে সরকার গঠন করার প্রস্তাব দেন।
সেক্ষেত্র কংগ্রেস-জেডিএস জোটের আসন হবে ১১৬ টি। খবরে বলা হয়েছে, জোটের সরকার গঠন হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামী- এমনই প্রস্তাবই নাকি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
আর এ আশ্বাসেই নড়েচড়ে বসেছে আঞ্চলিক দল জেডিএস। এ বিষয়ে তারা বুধবারই (১৬ মে) সাক্ষাৎ করতে চায় রাজ্যপালের সঙ্গে।
বিজেপিও বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছে। তাদের দাবি, কংগ্রেস ভোটের আগে জেডিএসের সঙ্গে জোট করেনি। এখন তাই এই প্রস্তাব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া উচিত নয়।
যুক্তির দিক থেকে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে আছে। তাই বিজেপির দিকেই সরকার গঠনের পাল্লা অনেকটা ভারী। এখন অপেক্ষা রাজ্যের প্রধান কী রায় দেন? তবে শেষ খবর বলছে, বিজেপির দিকেই রাজ্যপালের সায়।
তবে তাই যদি হয়, সেক্ষেত্রে কংগ্রেসও হুমকি দিয়ে রেখেছে, এমন হলে আদালতে যাওয়া হবে।
এদিকে নির্বাচনের পর জেডিএস প্রধানকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গেরর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেবেগৌড়া আমার শ্রদ্ধেয় নেতা। তার দল ভালো ফল করেছে। তিনি একসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সামনে ভারতে লোকসভা ভোট। আঞ্চলিক দলগুলো যত ভালো ফল করবে বিজেপি ও কংগ্রেস ততো চাপে থাকবে এবং তৃতীয় ফ্রন্টের দরজা আরও খুলবে
জানা গেছে, কর্ণাটক বিধানসভা ভোটেই সব’চে বেশি টাকা খরচ করেছেন প্রার্থীরা। ভারতের ইতিহাসে আর কোনো বিধানসভা নির্বাচনে এত টাকা খরচ করা হয়নি।
এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা ৯ হাজার ৫শ থেকে ১০ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করেছেন। যা ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। তবে এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের জন্য হওয়া খরচ ধরা হয়নি।
সাধারণভাবে প্রত্যেকবারই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বেশি খরচ করে থাকে।
এরই মধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
বিএস/এমএ/