জব্দ করা এসব বক্সে বৈদেশিক মুদ্রা, গহনা, ব্যাগসহ বিভিন্ন বিলাসদ্রব্য পাওয়া গেছে।
২০০৯ সালে ওয়ানএমডিবি (ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ) মালয়েশিয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তহবিল গঠন করা হয়।
যার মাধ্যমে রাজধানী কুয়ালালামপুরকে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার পাশাপাশি কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার পরিকল্পনা নেয় দেশটির তৎকালীন সরকার।
কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ওই তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে মালয়েশীয়দের প্রতারিত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ থাকার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করার উদ্যোগ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলাও হয়।
মার্কিন বিচার বিভাগের দায়ের করা ওই মামলার কাগজপত্রে রাজাকের নাম উল্লেখ না করলেও ‘মালয়েশিয়া অফিসিয়াল ওয়ান’ বলা হয়। এর মধ্যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মালয়েশিয়াতে রাজাকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে যায়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যদিও শুরু থেকেই সব অভিযোগ আস্বীকার করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের রাজনৈতিক শিষ্য রাজাক।
ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন গুরু মাহাথির। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি রাজাক।
এরই প্রেক্ষিতে নিজের সাবেক দল বারিসান ন্যাশনালের (বিএন) বিপক্ষে অবস্থান নেন টানা ২২ বছর মালয়েশিয়া শাসন করা ৯২ বছর বয়সী মাহাথির। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া দেশটির ১৪তম নির্বাচনে জয়ও পান তিনি।
রাজাকের বাড়ি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালানোর কারণ ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি। তল্লাশিতে ২৮৪ ডিজাইনের ব্যাগ মিলেছে। এর মধ্যে জব্দ করা হয়েছে ৭২টি। যেগুলোর মধ্যে দামি ঘড়ি, জুতা, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য পাওয়া গেছে। তবে জব্দ এসব পণ্যের সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এএ