মাদুরো ও তার সহযোগী পক্ষগুলোর ওপর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবারের নির্বাচনের পর মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ভেনেজুয়েলার তেল-সম্পদ ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ভেনেজুয়েলার জনগণের ওপর নিপীড়ন বন্ধে নতুন করে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ভেনেজুয়েলায় আটক সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি, পানামা ও পেরু কারাসের সঙ্গে তাদের কূটোনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বেশ ক’টি ল্যাটিন আমেরিকান রাষ্ট্র এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞাকে পাগলামী, বর্বর ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ আরিয়েজা।
এদিকে মাদুরোর জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়া, এল-সালভাদর, কিউবা ও চীন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবারের (২১ মে) একটি বিবৃতিতে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য মাদুরোকে অভিনন্দন জানান এবং ভেনেজুয়েলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সাফল্য কামনা করেন।
বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ভেনেজুয়েলার জনগণের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো।
রোববার (২০ মে) অনুষ্ঠিত ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোটার অংশ নেয়। এরমধ্যে মাদুরোর বাক্সে পড়ে ৬৭.৭ শতাংশ ভোট এবং বিরোধী দলীয় প্রার্থী হেনরি ফ্যালকন পান ২১.২% শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এনএইচটি