মঙ্গলবার (২২ মে) দেশটির এদহি ফাউন্ডেশন নামের একটি সমাজকল্যাণ বিষয়ক সংস্থা মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানান, প্রচণ্ড রকমের এ তাপদাহে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, করাচির ওপর দিয়ে প্রচণ্ড তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। এরপর আবার রমজান মাস। তাই মুসলমানরা সারাদিন না খেয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন। এছাড়া দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার (২১ মে) করাচির তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদহি ফাউন্ডেশনের সমাজকল্যাণ বিষয়ক এই সংস্থা পাকিস্তানের বড় এ শহরটিতে মর্গ ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা পরিচালনা করে। সংস্থাটির পরিচালনাকারী ফয়সাল এদহি বলেন, তিনদিনে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। এসব মরদেহ আমাদের মর্গে রাখা হয়েছে। আর যারা মারা গেছেন তাদের বেশির ভাগই কারখানার শ্রমিক। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা শহরে এসেছিলেন।
মৃত ব্যক্তিদের বিষয়ে এলাকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকার থেকে কোনো তথ্য আসেনি এখনও।
এদিকে, সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য সচিব ফজলুল্লাহ্ পেচুহো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের কেউই তাপদাহে মারা যাননি। তাপদাহ বা অন্য কোনো কারণেই তারা মারা যান কেনো, এ বিষয়ে শুধু চিকিৎসক বা হাসপাতালই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে তাপদাহে মারা যাওয়ার বিষয়টি আমি নিশ্চিতভাবে প্রত্যাখান করছি।
এর আগেও ২০১৫ সালে দেশটিতে তাপদাহে অন্তত এক হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
বাংলাদেম সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
টিএ