বৃহস্পতিবার (২৪ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো একথা জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, পিয়ংইয়ং এর আমন্ত্রণে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ও সুড়ঙ্গ ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবাদিকরাও উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। এর আগে পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস কার্যক্রমের সংবাদ সংগ্রহের কাজে সিউলের কোনো সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানায়নি পিয়ংইয়ং।
পিয়ংইয়ং ঘোষণা করেছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ও সুড়ঙ্গ ‘পু্ঙ্গেরি’ পরিকল্পনা অনুযায়ী ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আমন্ত্রিত বিদেশি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানান, দিনভর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে সুড়ঙ্গসহ তিনটি প্রবেশপথ ছিল। এগুলোসহ এর কাছাকাছি ব্যারাক ও এর পুরো অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
স্কাই নিউজের সংবাদদাতা টম চেশরি বলেন, বিপুল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আমরা শুধু ধ্বংসাবশেষের ধুলা দেখেছি, আর তাপ অনুভব করেছি। বিস্ফোরণের সময় বিকট আওয়াজ হয়।
উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি এলাকায় এই পরমাণু কেন্দ্রটির অবস্থান। ধারণা করা হয়, এটিই দেশটির সবচেয়ে বড় পরমাণু স্থাপনা। সেখানে পুঙ্গেরি কেন্দ্রের কাছে মাউন্ট মান্তাপের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বিভিন্ন সময়ে পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
** বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উ. কোরিয়ার পরমাণু কেন্দ্র ‘পুঙ্গেরি’
২০০৬ সালের পর থেকে এখানে ছ'টি পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সবশেষ পরীক্ষাটি চালানো হয় গতবছরের সেপ্টেম্বরে।
এর আগে গত এপ্রিলে দুই কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে সাক্ষাতের পর এই পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং।
কিন্তু কবে করা হবে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, জুনে কিম জং-উনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে বৈঠক করবেন।
কিন্তু যেদিন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের খবর আসে ওইদিন আবার ট্রাম্প এ বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে কী ফের ট্রাম্প-কিমের মধ্যে ‘বাগযুদ্ধ’ শুরু হচ্ছে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব!
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮/আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা
এমএ/