শনিবার (২ জুন) সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সম্মেলনে ম্যাটিস এই মন্তব্য করে বলেন, বেইজিংয়ের কর্মকাণ্ড দেশটির বৃহৎ লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এর আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক যন্ত্রাংশ স্থাপন করেছিল চীন যারমধ্যে ইলেকট্রনিক জ্যামারসহ বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ছিল।
তিনি আরও বলেন, চীন এটা অস্বীকার করলেও তাদের সামরিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার দমন ও আতঙ্ক তৈরির উদ্দেশ্যর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় কিন্তু প্রয়োজন হলে তারা সবলে লড়বে। তাছাড়া এই অঞ্চলে চীনের ভূমিকাকে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই স্বীকার করে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রাম্প ও কিম জং উনের এই মাসের সম্মেলনে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। কোরীয় উপদ্বীপে সম্পূর্ণরূপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সং জং মো বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সৈন্যের অবস্থান এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ভিন্ন ইস্যু।
উল্লেখ্য দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্বের একটি অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক রুট। এই সাগর বর্তমানে ছয়টি দেশের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। এই সাগরে চীনের বেশ কিছু ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে এবং এখানে আধিপত্য বিস্তারের জন্য কিছু নৌ-সমরাস্ত্র সুবিধাও তৈরি করেছে। মার্কিন সমর্থিত বিভিন্ন পক্ষের দাবি, এ অঞ্চলের দ্বীপগুলোকে সামরিক ঘাঁটিতে রূপান্তর করে চলেছে চীন।
গত মাসে দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাশেল দ্বীপপুঞ্জের উডি আইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো চীনের বোমার প্লেন অবতরণ করে, যা এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিশ্লষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এনএইচটি