আগামী ৬ জুন (বুধবার) হোয়াইট হাউসে মুসলমানদের ইফতার ও নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় শনিবার (০২ জুন) হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে অতিথিদের তালিকা অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু হয়েছে।
রীতি অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টরা পবিত্র রমজানে হোয়াইট হাউসে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করে থাকেন। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় থেকে মুসলমানদের সম্মানে এই আয়োজন হয়ে আসছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামাও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
হোয়াইট হাউসের ইফতার ও নৈশভোজে আমেরিকার প্রভাবশালী মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আইনপ্রণেতারা উপস্থিত হন।
এর আগে রমজানের শুরুতে বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখন তিনি বলেন, মুসলমানরা আমেরিকার সমাজজীবনে ধার্মিকতা যুক্ত করছেন। তাদের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
এদিকে ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম বছরে হোয়াইট হাউসে এ রীতি ভাঙেন ট্রাম্প। তখন কোনো ধরনের ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়নি। এ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাকে।
নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে দায়িত্ব নেওয়ার পরও ট্রাম্পের মুসলমান-বিরোধী অবস্থান দৃশ্যমান হয়। হোয়াইট হাউসে আসীনের পর কিছুদিনের মধ্যেই কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। যদিও দেশটির ফেডারেল কোর্ট তা স্থগিত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৮
এমএ/