কয়েকদিন ধরে জল ঘোলার পরে আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক নিশ্চিত হয়েছে। এরইমধ্যে আসাদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা প্রকাশ করলো উত্তর কোরিয়া।
তবে কবে নাগাদ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এখন পর্যন্ত এই বৈঠক নিয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করেনি।
জানা গেছে, এর আগেও উভয় দেশের নেতা পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যের জন্য বার্তা বিনিময় করেছেন। সর্বশেষ গত বছরের এপ্রিলে সিরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাশারকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন কিম।
পিয়ংইয়ং-এ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে প্রথমবারের মতোকিমের সাথে সাক্ষাৎ করতে উত্তর কোরিয়া যাবেন বাশার।
কিম জং উনকে নিয়ে আর্ন্তজাতিক কূটনীতিতে এখন বেশ আলোচনা চলছে। বেশ কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই নেতা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে আলোচনার সৃষ্টি করেন এই নেতা। সর্বশেষ গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ং-এ রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কিম।
গত শুক্রবার (১ জুন) উত্তর কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাতের পর কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বুধবার (৩০ মে) বাশার আল আসাদকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাশার দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোরদারে সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ১৯৭০ সালে বাশার আল আসাদের বাবা হাফেজ আল আসাদ উত্তর কোরিয়ার প্রথম প্রধান নেতা কিম ইল সাং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ২০১৫ সালে সিরিয়ান সরকার দামাস্কোর একটি পার্কের নামকরণও করেন কিম ইল সাং এর নামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ০৪ জুন, ২০১৮
আরআর