ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরৌজ কামালভান্দি বলেছেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থাকে জানাবে যে এই প্রস্তুতি মঙ্গলবার (৫ জুন) থেকে শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, আয়াতুল্লাহ খামেনি বুঝিয়েছেন পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের প্রক্রিয়া ভালোভাবেই চলছে।
এর আগে গত ৯ মে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।
সেসময় তিনি জানান, তিনি ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।
ট্রাম্প শুরু থেকেই এই চুক্তির বিরোধী ছিলেন।
তখন থেকে খামেনি ও অন্য ইউরোপীয় নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বের হলেও ইউরোপীয় দেশগুলো ও চীন জানায়, তারা পারমাণবিক চুক্তিতেই থাকবে। এরপর থেকে ট্রাম্প ইউরোপীয় বিভিন্ন কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ইরান আশঙ্কা করছে ইউরোপীয় নেতারা ইউরোপের কোম্পানিগুলোর উপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে প্রতিহত করতে পারবে না। যার ফলে ইরানের তেল কোম্পানিগুলো সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইরানিরা পারমাণবিক সক্ষমতা হ্রাসকরণ এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা উভয় শর্ত সহ্য করবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চীন পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হয়। এই চুক্তির ফলে ইরানের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ইরানের সঙ্গে হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের বিদ্রোহী সংগঠন হুতি এবং সিরিয়া ইস্যুতে ইরানের অবস্থানের কারণে ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ০৫ জুন, ২০১৮
আরআর