মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুল্ক আরোপের বিষয়ে বলেছিলেন, এটা আমেরিকার অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে ট্রাম্পের এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোন বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জানান, জি-৭ সম্মেলনে নেতাদের শিষ্টাচারী হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তিনি সুস্পষ্টভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর সহনশীলতা হারাচ্ছেন। তিনি এও বলেছেন, প্রয়োজনে জি-৭ এর অন্য দেশগুলো নিজেদের সংগঠন গঠন করতে পারে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আরো গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ দেখতে চান তিনি। তবে তিনি বলেছেন, এই প্রতিক্রিয়া যাতে বৈধ হয়।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার তার এক টুইট বার্তার মাধ্যমে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে আক্রমণ করেছেন। কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, এই মনোভাব উত্তেজনা ছড়াতে পারে।
কানাডার একজন কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখানে অনেকগুলো বিষয়ে মতানৈক্য আছে।
আমেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের জন্য ফ্রান্স এবং কানাডাকে দোষারোপ করে এক টুইট বার্তা লিখেছেন ট্রাম্প। ট্রুডোকে অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘খুবই অকৃতজ্ঞ’।
এদিকে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবারে ট্রাম্প এই সম্মেলন ত্যাগ করবেন। সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই তিনি উত্তর কোরিয়া বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
কানাডার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাস্টিন ট্রুডো জি-৭ সম্মেলন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি আশা করেন পরিবেশগত ও উন্নয়ন ইস্যুতে এ সম্মেলন ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এএইচ/এমজেএফ