বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সি-৪৫ (ক্যানাবিস আইন) নামের বিলটি সিনেটে উপস্থাপনের পর এর পক্ষে ৫২ ভোট জমা পড়ে এবং বিপক্ষে জমা পড়ে ৩০ ভোট।
সিনেটে মাসের পর মাস নানা তর্ক-বিতর্কের পর পাশ হওয়া বিলটি ফেরত দেওয়া হবে দেশটির হাউজ অব কমনে।
২০১৫ সালের নির্বাচনী প্রচারণাকালে বর্তমান প্রাইম মিনিস্টার জাস্টিন ট্রুডোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিল, কানাডায় গাঁজার বৈধতা। ট্রুডো নিজেও স্বীকার করেন যে, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়বার গাঁজা টেনেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, সামনের ১ জুলাই থেকেই কানাডায় গাঁজা বৈধভাবে বেচাবিক্রি শুরু হবে। ধীরে ধীরে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠবে গাঁজার ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক। কানাডায় ২০০১ সাল থেকেই মেডিক্যাল মারিজুয়ানা (চিকিৎসার স্বার্থে গাঁজা ব্যবহার) বৈধ। এবার থেকে বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যেও গাঁজা সেবনে কোনো বাধা থাকবে না।
বিলটিতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সের একজন ব্যক্তি নিজের ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম পর্যন্ত গাঁজা অধিকার করতে পারবেন।
১৮ বছরের নিচের কাউকে গাঁজা বিক্রি ফেডারেল আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ, তবে দেশটির প্রদেশগুলো নিজেদের মতো করে এ আইনের আলাদা আলাদা সংস্করণ তৈরি করে নিতে পারবে।
পরিসংখ্যানবিদদের হিসেব মতে, গাঁজা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে দেশটিতে প্রায় ৫.৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা তৈরি হতে চলেছে।
জানা যায়, কানাডার বিভিন্ন খুচরা দোকানেই পাওয়া যাবে গাঁজা। ইতোমধ্যেই ১০৫টি বাণিজ্যিক সংস্থা দেশটিতে গাঁজা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। আর একজন ব্যক্তি নিজ বাড়িতে সর্বোচ্চ চারটি গাঁজা গাছ রাখতে পারবেন। তাছাড়া গাঁজার বৈধ লেনদেনের মাধ্যমে প্রতিবছর বিপুল অংকের ট্যাক্স পেতে চলেছে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার।
উরুগুয়ে পাঁচ বছর আগেই বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবনের বৈধতা দিয়েছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি প্রদেশেও তা বৈধ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এনএইচটি